চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা মহানগর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মহানগর বিএনপির হস্তক্ষেপের কারনে গত ৭ বছরে ওয়ার্ড ও থানায় কোন কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। সেই সাথে ছিল মহিলা দল সভানেত্রীর অযোগ্যতা, নিস্ক্রিয়তা, তৃণমূলের কর্মীদের অবমূল্যায়ন। ফলে ২০১২ সালের মার্চে গঠিত নগর মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৯০ শতাংশই আজ নিস্ক্রিয়।
দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং সাবেক ছাত্র নেত্রীদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজা খানম এলিজা। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সাবেক এই ছাত্রদল নেত্রী, যিনি সরকারি পাইওনিয়ার কলেজ থেকে একাধিকবার ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে এলিজা বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের পর খুলনায় মহিলা দল একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছিল। ২০১২ সালের মার্চে রেহানা ঈসাকে সভানেত্রী এবং তাকে সাধারণ সম্পাদিকা করে কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডেই কর্মী সভা করে। কিন্ত কমিটির সভানেত্রী রেহানা ঈসা নগর বিএনপির সহ সভাপতি হওয়ার কারনে মহিলা দলের চাইতে বিএনপি নেত্রীর পরিচয়ে রাজনীতি করতে অধিক সাচ্ছ্যন্দ বোধ করেন। বিএনপির অন্য কোন অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মূল দলের সহ সভাপতি পদ দেয়া হয়নি। রেহানা ঈসা হাতেগোনা ৪/৫ জন নেত্রীকে নিয়ে দলীয় কর্মসূচি চালান। সবাইকে নিয়ে সংগঠন করার অনুরোধ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তার অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরনের কারনে মহিলা দলের ৯০ ভাগ নেতাকর্মীই আজ নিস্ক্রিয়। বিগত কেসিসি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণায় এলেও রেহানা ঈসা তাদের অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং প্রচারণায় অংশ নেননি।
এলিজা অভিযোগ করেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে অযোগ্য অথর্ব ও ৭ বছরে সম্মেলন করতে ব্যর্থ রেহানা ঈসাকে সভানেত্রী এবং খালিশপুরের চিহ্নিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য আনজিরা খাতুনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে অবিলম্বে সাবেক ছাত্রদল নেত্রীদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভানেত্রী কে এম ফরিদী, শামসুন্নাহার লিপি, নাসরিন হক শ্রাবণী, শাহনাজ সরোয়ার, হোসেনেয়ারা চাঁদনী, নিঘাত সীমা, সোনিয়া খান, মাজেদা খাতুন, পুতুল, জাকিয়া সুলতানা, পারুল, ফরিদা, কাকলী, লাকি আজমেরি, সোমা, লাকি, মনি, মুন্নি, নুরজাহান, দুলারী, মিনু, মর্জিনা, সাবিনা, শিখা প্রমুখ।