চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে সেতুর উপরে ক্রমান্বয়ে পানি উচ্চতা বাড়তে থাকলে ওইদিন বিকেল থেকেই সেতুতে পর্যটক ও জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ।
রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। যার কারণে সেতুতে পর্যটক ও জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে সেতুর আশপাশের স্থানে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে।
সাধারণত হ্রদের পানি ১০৪ এমএসএল হলে আমাদের ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে যায়। ১০৩ এমএসএল হলে ঝুলন্ত সেতুর নিচে পানি ছুঁইছঁই থাকে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সেতুটি আরও ওপরে উঠিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আগেও নির্মাণকাজে নিযুক্ত প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। তারা যেটা জানিয়েছেন, সেতুটি এখন আরও ওপরে তুলে নেওয়ার মতো তেমন কোনো অবস্থা নেই। সেতুটি তোলার চেষ্টা করলে বিভিন্নভাবে ভেঙে যাবে। তাই এখন এটি নতুন করে পরিকল্পনা করে এটি তৈরি করতে হবে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে হ্রদের পানি সামাল দিতে গত মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৬টি জলকপাট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ২৫ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী জল বিদ্যুৎ কেন্দের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের। তিনি জানান, হ্রদে ১০৬ এমএসএল পানি থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট দেড় ফুট উচ্চতায় খুলে দেওয়া হয়েছে। হ্রদে বর্তমানে পানির উচ্চতা ১০৭.৪ এমএসএল। যা আগের থেকে বেড়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় কমিটির সদস্য ও রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশ মোতাবেক হ্রদের পানির রুলকার্ড অনুসারে ১২০ এমএসএল এর নিচে ঘরবাড়ি কিংবা যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের কোনো ধরনের বিধান নেই। আমি ঠিক জানি না পর্যটন কর্তৃপক্ষ কীভাবে রুল কার্ডের নিয়ম উপলব্ধি না করে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করেছেন।’