আন্তর্জাতিক ডেস্কঃদক্ষিণ ও মধ্য ইসরাইলে নতুন করে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। বুধবার ফজরের পরেই ইসরাইলকে নিশানা করে বৃষ্টির মতো রকেট ছোড়ে তারা।টাইমস অব ইসরাইলের খবর বলছে, দখলদারদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু রকেট প্রতিরোধ করতে পেরেছে।
এদিকে ইসরাইলি হানাদার বাহিনীর বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএফপি।ল্যাটরান ও বেইত শেমেশের কাছে মধ্য ইসরাইলে নাগরিকদের সতর্ক করতে সাইরেনের আওয়াজ শোনা গেছে।ব্যাপক বিস্ফোরণ কানে আসার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নেটিভোট শহরেরও তুমুল রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে মঙ্গলবার দখলদার দেশটির ভূখণ্ডে দুই শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছেন ফিলিস্তিনিরা।এদিকে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গুপ্তহত্যা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার পর উপত্যকাটিতে অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল।ইহুদি রাষ্ট্রটির গণমাধ্যমের খবর জানিয়েছে, গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে শক্তি বাড়াচ্ছে তারা। এসব সেনাদের মধ্যে রয়েছে, আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটস, সামরিক গোয়েন্দা ও হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক বলেও খবরে জানিয়েছে।স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য সূত্র বলেছে, উত্তর গাজায় ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে তিনটি মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় তারা নিহত হয়েছেন।
তবে এক টুইটবার্তায় ইসরাইলি হানাদার বাহিনী দাবি করেছে, নিহত তিন ব্যক্তিই ইসলামি জিহাদের যোদ্ধা। তারা গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ করছিলেন।তবে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া তিনটি মরদেহই এই তিন ব্যক্তি কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।এর আগে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটির বিমান হামলায় ইসলামিক জিহাদ নেতা বাহা আবু আল-আত্তা ও তার স্ত্রী আসমা নিহত হয়েছেন।
এই হামলার পর গাজা থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। সারাদিনে গাজা থেকে দুই শতাধিক রকেট ইসরাইলে আঘাত হেনেছে বলে দখলদার দেশটি দাবি করেছে।তবে এসব রকেটের ৯০ শতাংশের বেশিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। কোনো ইসরাইলির হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সেনাদের সাধারণত সংকট ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা হয়।