চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখাদ্যে কেবল স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বাংলাদেশ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে রোল মডেলের দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বর্তমান সরকারের আমলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।এ সময় তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সিন্ডিকেট ও কূটচালে সাময়িক সংকট সৃষ্টি করা গেলেও সুলভ মূল্যে ভোগ্য পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের এ সফলতা ম্লান করা যাবে না।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আয়োজিত শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে অবাক করে দিয়ে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ ‘কেস স্টাডির’ দেশে পরিণত হয়েছে এবং তারা আফ্রিকার দেশগুলোর কাছে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালের দিকে দেশের জনগণের ৪১ শতাংশ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করত। এখন সেটি অর্ধেকে নেমে মাত্র ২০ শতাংশ হয়েছে। ৫০ এর দশকের কাছাকাছি আমাদের দেশ খাদ্য ঘাটতির জনপদে রূপান্তরিত হয়। তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭০ লক্ষ। সেই থেকে এখন জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৭০ লক্ষ। মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ ২০-২৫ শতাংশ কমেছে। কারণ শহর বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান নির্মাণ করতে হয়েছে। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক ইন্ডাস্ট্রি বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ১০ বছর আগে ভরদুপুরে বা সন্ধ্যার পরে ঢাকাসহ চট্টগ্রাম শহরের অলিতে গলিতে ‘মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন’ এমন ডাক শোনা যেত। এখন সেটি শোনা যায় না। কারণ আমরা বাসি ভাতের সমস্যা সমাধান করেছি। তাই এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পোস্টারে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত’ এখন আর লিখি না। এখন শুধু ‘দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ’ লেখা হয়। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ আমরা ক্ষুধাকে জয় করেছি। না হয় দেশ খাদ্য রপ্তানিকারক হতে পারত না।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।