চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগ পাওয়ার পর খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান (এমআইএস) মোঃ জোবায়ের হোসেন ও তার স্ত্রী শাহানা সুলতানাকেও সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলেছে দুদক। এর আগেও ওই জোবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার কমিশনের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের স্বাক্ষরে পৃথক নোটিস পাঠিয়ে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়। নোটিসে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি (যাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে তার নাম) আপনার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এই নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে নিজের, নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ নির্ধারিত ফরমে দুদক কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলমের বরাবর দাখিল করতে বলা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযোগুলো অনুসন্ধান করছেন।
এদিকে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রধান জোবায়ের হোসেনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, জোবায়ের হোসেন একই কর্মস্থলে প্রায় ২২ বছর ধরে রয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি রাজস্ব খাতে ও এর আগে ১৯৯৭ সাল থেকে ওই পদেই প্রকল্পের আওতায় চাকরি করছেন। একই কর্মস্থানে দীর্ঘদিন থাকার কারণে প্রভাব বিস্তার ও চাকরিতে তদবিরের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ভুয়া বিল-ভাউচার, সেমিনার ও প্রশিক্ষণের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খুলনায় তার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় স্বপদে বহাল থাকার অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে অনেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে লবিং শুরু করেছেন।