চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঅবশেষে খুলনার বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিল করার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। জালিয়াত চক্রের মূল হোতা খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোঃ তারিকুল ইসলাম মামলার বাদী হতে এসে নিজেই আসামি হয়ে এখন শ্রীঘরে। এ ব্যাপারে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়া জমির প্রকৃত মালিক রবীন্দ্রনাথ সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন (মামল নং-৯)।
জানা যায়, খুলনা সদরের দলিল লেখক মোঃ তারিকুল ইসলামসহ ৪ জন গ্রহীতা উপজেলার শৈলমারী মৌজায় বিকাশ সরকার ও কৃষ্ণপদ সরকার গংদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করার উদ্দেশে ৪ জন গ্রহীতা মিলে দলিল লিখে সাব-রেজিস্ট্রারের সামনে দাখিল করেন। সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন দাতাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ সরকারের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে সন্দেহ হলে জমা দেওয়া আইডি কার্ডটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসে পাঠায়। কিন্তু আইডি কার্ডটি রবীন্দ্রনাথের না হওয়ায় তিনি থানার ওসি মোঃ রবিউল কবিরকে বিষয়টি মোবইল ফোনে অবহিত করেন। এ সময় তারিকুল ইসলাম, বায়েজিদ হোসেন, আশরাফুজ্জামান বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভুয়া রবীন্দ্রনাথ সাজানো ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তবে দাতাদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অপর দুই ভাই কৃষ্ণপদ ও বিকাশ সরকারসহ অপর গ্রহীতা ইউনুছ আলী সরদার পুলিশের উপস্থিতিতে আটক হয়। জটিলতার থেকে রেহাই পেতে সু-কৌশলী দলিল লেখক ও জমি গ্রহীতা তারিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় থানায় মামলা করতে গেলে জমির প্রকৃত মালিক রবীন্দ্রনাথ সে বিষয়ে খবর পেয়ে তার নিজের পরিচয়পত্র নিয়ে থানায় হাজির হন। রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীতে থানার ওসি মোঃ রবিউল কবির ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক আহম্মেদ কবিরের নিকট জানিয়ে তিনি নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই সময়ই চক্রের মূল হোতা দলিল লেখক তারিকুল ইসলামসহ দুপুরে আটক হওয়া অন্য ৩ আসামিকে আটক দেখিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে জেল হাজতে প্রেরণ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক স্বপন কুমার পাল।