যশোর প্রতিনিধিঃযশোরের অভয়নগর উপজেলার সীমান্তে এলজিআরডি-এর অভয়নগর-মনিরামপুর সংযোগ সড়কের ৪.৪ কিলোমিটার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিম্নমানের ইট, খোয়া ও ধুলাবালি ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে মানসম্মত ও সঠিক উপকরণ দিয়েই সড়কের কাজ চলছে। এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে ইট, খোয়া ও ধুলাবালি অপসারণ করা না হলে ইউএনও এবং ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।
মনিরামপুর উপজেলা এলজিআরডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটির ৪.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১২ ফুট নির্মাণ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা। উল্লেখ্য, আছে ইট, বালু ও উন্নত মানের খোয়া দিয়ে কাজ করতে হবে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যশোরের এল রহমান (লুৎফর রহমান) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরুতে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ ভালো করে। এরপর হরিদাসকাঠি অসীম ডাক্তারের বাড়ির পূর্ব পাশ থেকে দিলেশ্বরের বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত কাজে বালুর পরিবর্তে ধুলাবালি, নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করছে। ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ বেহাল অবস্থার রাস্তটি গত দুই বছর আগে ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যদি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভালো মানের কাজ না করে তাহলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার কথা বলেন তারা।
এ ব্যাপারে ওই সড়কের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত মনিরামপুর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম জানান, ধুলাবালু নয়, যে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা ভাল। আর নিম্মমানের কোনো মালামাল ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য দুইজন লোক রাখা আছে। ঠিকাদার এল রহমান (লুৎফর রহমান) জানান, আমি ভালো মানের কাজ করছি। আগের কিছু ইটের খোয়া ছিল, সেগুলো ব্যবহার করেছি। আসলে ওইটা নিম্নমানের কাজ না। যেহেতু ট্রলিতে করে আনা হচ্ছে, তাই এলাকাবাসীর কাছে খারাপ মনে হতে পারে।