জাকির তাহের কাজলঃ
প্রিয়া সাহা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে দেশের যে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে,সেটা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।যার তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ।বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে প্রিয়া সাহা। সে আঘাত করেছে ধর্মীয় সম্প্রীতির মূলে।আঘাত করেছে আমাদের স্থিতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলে।সর্বোপরি তার ধৃষ্টতাপূর্ন বক্তব্য উগ্র,ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি,যারা সব কিছুতেই ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ছড়াতে চায়,তাদের গর্ত থেকে বের হয়ে আসার একটু হলেও সুযোগ করে দিয়েছে। আর এর দায়ভার তাকে এবং তাকে এ ধরনের বাজে ও মিথ্যা কথা বলার সুযোগ যারা করে দিয়েছে,তাদের সকলের নিতে হবে।
এখন কি এমন বাংলাদেশে ঘটে গেলো যে,প্রিয়া সাহা এ দেশকে নিরাপদ ভাবতে পারছে না? অথচ তার স্বামী তো সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে পদস্থ আছেন। তার স্বামীর এবং প্রিয়া সাহার মতো অনেকেই বিভিন্ন দপ্তরে উচ্চপর্যায়ে পদস্থ।তাহলে মিথ্যা অপবাদ কেনো ?প্রিয়া সাহার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে খোদ হিন্দু,খৃস্টান,বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদও সম্ভবত প্রচন্ড লজ্জিত। অবশ্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থায় আমাদের বাংলাদেশে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। বেশি আরামে থাকলে একশ্রেণীর প্রাণীর ক্ষতিকর চর্বি জমতে থাকে,সম্ভবত প্রিয়ার ও তার সাংগদের তাই
হয়েছে।মনে রাখা দরকার,এ দেশের উদার মনের মানুষেরা পুরাতন বা নব্য রাজাকার, কাউকেই ছাড় দিয়ে কথা বলবে না।অনেক কষ্টে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। কোনো ধর্মের
মৌলবাদীদের হাতেই এ দেশের স্বাধীনতা নস্যাত্ হতে দেয়া হবেনা।এ দেশ সব ধর্মের মানুষের আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত।এ দেশ কোনো ধর্মীয় বিভাজনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংগালী,বাংলাদেশী,সর্বোপরি আমরা মানুষ।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির পিতা। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা।আবারও বলি,—এ দেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো কোনো জংলি রাষ্ট্র হতে পারে না।বাংলাদেশের মানুষ তা হতেও দেবে না। এটাই শেষ কথা।
বিশিষ্ঠ কবি ও কলামিষ্ট