আন্তর্জাতিক ডেস্কঃপ্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র বুগেনভিলেতে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পক্ষে ভোট পড়লে এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের নতুন দেশ।বুগেনভিলের ইতিহাসে ঔপনিবেশিক নিপীড়ন জড়িয়ে আছে। ৯ বছরের যুদ্ধ আর ধারবাহিক শান্তি প্রক্রিয়ায় এটি এখন স্বাধীনতার পথে হাঁটছে।আগামী শনিবার বুগেনভিলের ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায় লেখা হবে। এর দুই লাখ সাত হাজার বাসিন্দা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেবে নাকি বৃহত্তর স্বায়ত্বশাসনের পক্ষে ভোট সেটিই দেখার বিষয়।
১৮ শতকে ফরাসি অভিযাত্রী বুগেনভিলের নাম অনুসারে এই দ্বীপপুঞ্জটির নাম হয়েছিল। ১৯ শতকের শেষ ভাগে এটি জার্মান উপনিবেশে পরিণত হয় এবং তখন এর নাম দেওয়া হয় জার্মান নিউ গিনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এর নিয়ন্ত্রণ নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত এর শাসন ক্ষমতা তারাই পরিচালনা করে। ১৯৭৫ সালে পাপুয়া নিউ গিনি স্বাধীন হলে বুগেনভিলে এর প্রদেশে পরিণত হয়। বর্ণবাদ আর অর্থনৈতিক নিপীড়নের শিকার বুগেনভিলে কিছুদিন পরই স্বাধীনতা ঘোষণা করে । ১৯৮৮ সাল থেকে পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে শুরু হওয়া ৯ বছরের বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ে বুগেনভিলের চার থেকে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। ১৯৯৭ সালে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধের অবসান হয়। এর ফলে ২০০৫ সালে স্বায়ত্তশাসিত বুগেনভিলে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।