চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ নিহত ইমনের ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের ১০দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা ধুবইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।আদালতের নির্দেশে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কবর থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ইমনের মরদেহ উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, মামলা তনন্তকারী কর্মকর্তার লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান মামুন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) যাবীদ হাসান, মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুন্সী মাহফিজুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ মারা যায় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজ ছাত্র কামরুজ্জামান ইমন (২০)। ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে প্রশাসনের।ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করে নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন।তিনি প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক তারেক রহমান মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশিত কুমার বিশ্বাস ও জিকো বিশ্বাসকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।মামলার দিন মতিন, মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা দেয়।