চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকুষ্টিয়ার খোকসায় বিবাদমান আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলায় নারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে দুই পক্ষের ৮টিরও বেশি ঘর-বাড়ি।প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের সূত্র ধরে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের লোকেরা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। প্রথম হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতারের সমর্থক হাবিব মোল্লা আহত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে আতিয়ার ও আলীমের বাড়ি ভাঙচুর করে।এ ঘটনার জেরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় দুই পক্ষের ছোড়া গুলিতে শহিদুল, মাসুম ও শাহিদা খাতুন গুলিবিদ্ধ হয়। এ হামলায় উজ্জল, মাছুমসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
জানা গেছে, পাল্টা হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের অনুসারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানের বাড়িসহ তার কর্মী সমর্থকদের ৬টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শহিদ জানায়, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাবলুর লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা প্রতিপক্ষের ওপর চার রাউন্ড গুলি ছুড়লে তার শরীরে কমপক্ষে ৫০টি গুলির স্প্রিন্টার গেঁথে রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাবলু বলেন, নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষের সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবলুর লোকেরা তাকে (আনিস চেয়ারম্যান) হত্যা করার জন্য একাধিক বার হামলা করেছে। এ সব হামলার পেছনে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের দ্বিধা বিভক্ত নেতাদের ইন্ধন রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
ওই ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল ইসলাম ডাবলু জানান, দীর্ঘদিন তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে রয়েছেন। গ্রামেই নেই। তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান অনেক ভূমিহীনদের ঘর বাড়ি ভেঙেছিল। এসব তারই প্রতিফলন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আহতদের মধ্যে উজ্জল ও মাছুমকে কুষ্টিয়া জেলারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এমনটি নিশ্চিত করেন কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মানষ শায়ন্তনী ঘোষ।খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন জানান, তাদের কাছে শহিদ নামের একজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছিল। তাকে রেফার্ড করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত ইদ্রিস জানান, কয়েকজন গুলিবিদ্ধ আহত হয়েছে। পুলিশ আসার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।