চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃআগামী বছর ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার (২ ডিসেম্বর) মাদ্রিদে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সোমবার ২৫তম বার্ষিক কনফারেন্স অব পার্টিস (কপ-২৫) সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে মার্শাল আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট হিলডা হেইনির (Hilda Heine) দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কপ-২৫ নামে পরিচিত ২৫তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে মার্শাল আইল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট হিলডা হেইনির এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই যদি চায়, আমি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছি।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ১২ দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৫, যা চলবে চলতি মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত। এই সম্মেলনে ২০০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সম্মেলনস্থলে পৌঁছলে তাকে স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেদ্রো সানচেজ অভ্যর্থনা জানান। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখন থেকেই কাজ শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে শিশুরা আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের (বিশ্ব নেতাদের) প্রতি মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তা মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এখনই সময় কাজ করার।
সোমবার ফেরিয়া দা মাদ্রিদে ‘অ্যাকশন ফর সারভাইভাল : ভালনারেবল নেশনস কপ-২৫ লিডার্স সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের জন্য নির্মম এক বাস্তবতা। এটি এখন মানবজাতি, বাস্তুতন্ত্র, প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। যা দিন দিন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় একটি যথাযথ কাঠামো তৈরি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাস্তুচ্যুতদের স্থানান্তর ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গভীর মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের প্রয়োজনে একটি উপযুক্ত কাঠামো তৈরি নিয়ে আমাদের আলোচনা শুরু করা দরকার।