চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা মহানগর ও জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ১০ ডিসেম্বর। খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে সম্মেলনের প্যান্ডেল ও নৌকার আদলে মঞ্চ নির্মাণে প্রতিদিন গড়ে চল্লিশ জন শ্রমিক দিন-রাত কাজ করছে। গত ২৯ নভেম্বর কাজ শুরু হয়েছে, শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর। স্বাধীনতা উত্তরকালে বিশাল নির্মাণ করে সম্মেলন খুলনায় এই প্রথম। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সার্কিট হাউজ জুড়ে থাকবে প্যান্ডেল, বসবে আড়াই হাজার চেয়ার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সার্কিট হাউজের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ৪২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ৩৪০ প্রস্থ নিয়ে প্যান্ডেল প্রস্তুতির কাজ চলছে। খুলনার নিউ নূর ডেকোরেটর প্যান্ডেল নির্মাণ করছে। সার্কিট হাউজ ময়দানের পূর্বপাশে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থ নিয়ে ডিজিটাল মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দের বসার ব্যবস্থা করা হবে।
নিউ নূর ডেকোরেটরের মালিক মোঃ আকতার হোসেন জানান, প্যান্ডেল পরিধিতে দুই হাজার বড় সাইজে ও এক হাজার ছোট সাইজের বাঁশ স্থাপন করা হয়েছে। তার উপরে কাপড় দিয়ে নির্মিত হবে ছাউনি। ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের জন্যে ২৫ হাজার চেয়ার বসবে এখানে। শ্রোতার সুবিধার্থে সার্কিট হাউস তার আশপাশের সড়কগুলোতে ১৩০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে একজন শ্রমিককে দিনরাতের জন্যে মজুরি দিতে হচ্ছে দুই হাজার টাকা। মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা তার খরচ হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া সম্মেলন শেষে প্যান্ডেলের আনুসাঙ্গিক সবকিছু গুটিয়ে নিতে তার সময় লাগবে তিন/চারদিন। নিরাপত্তার জন্যে ৩ ডিসেম্বর থেকে মঞ্চস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১২ জন কাউন্সিলর ও দুইশ’ ডেলিগেটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডেলিগেটের মধ্য থেকে ৫০ জন মহিলা রাখার বাধ্যতামূলক। সম্মেলন সফল করতে দিনে-রাতে উপ-কমিটি গুলোর প্রস্তুতি সভা চলছে।
বর্ণাঢ্য সম্মেলন দৃষ্টিদন্দন করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শহরে প্রায় আড়াইশ’ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। নগর জুড়ে নগর ও জেলা আ’লীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের পোস্টার-প্যানা শোভা পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আ’লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
অপরদিকে, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি জেলা আ’লীগের সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদকে সভাপতি ও এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর নয় মাস পর গঠিত হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। গত বছর ১৮ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার ইন্তেকাল করেন।