চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় তিলোত্তমা বাগচী ওরফে তমা বাগচী (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার সন্ন্যাসী বাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তিলোত্তমা বাগচী স্থানীয় এআর খান ডিগ্রি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লিঙ্কন দাসের স্ত্রী। নিহত তমা বাগেরহাটের খানপুর এলাকার তাপস কুমার বাগচির মেয়ে ও বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামের সিবানন্দ দাসের ছেলে লিঙ্কন দাসের স্ত্রী ছিলেন।
চাকরির সুবাদে লিঙ্কন স্ত্রীকে নিয়ে সন্ন্যাসী বাজারে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। স্বামীর নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী গৃহবধূ তিলোত্তমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ তার পিতা তাপস কুমার বাগচীর।
তাপস কুমার বাগচী বলেন, ‘আড়াই বছর পূর্বে লিঙ্কনের সাথে বিয়ে হয় তিলোত্তমার। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি বিরাজ করছিল তাদের সংসারে। চাকরির সুবাদে লিঙ্কন মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। সেখানে ঘরের মধ্যে তালাবন্দি করে রাখা হতো তিলোত্তমাকে। মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতে দিত না। প্রায়ই মারপিট করা হতো আমার মেয়েকে। সুযোগ পেলেই আমার কাছে অভিযোগ জানাতেন তিলোত্তমা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব কারণে প্রায় এক বছর পূর্বে তিলোত্তমা স্বামীর সংসারে আর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লিঙ্কনের অনুরোধে একপর্যায়ে যেতে হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে বাঁচতে হলো তিলোত্তমাকে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, গৃহবধূ তিলোত্তমার আত্মহত্যার বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেম করাতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আত্মহত্যার পূর্বে তিলোত্তমা একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেটি জনসমক্ষে আনা হয়নি। গণমাধ্যম কর্মীদেরকে আপাতত দেখানো যাবে না। তবে আলামত হিসেবে চিরকুটটি পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।