চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে একটি রুল জারি করা হয়েছে। রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক শিক্ষকদের এমপিও হতে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের স্থগিতাদেশ চেয়ে গত নভেম্বর মাসে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে একটি রিট করা হয়। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ডে জমা হওয়ার জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে প্রতিমাসে ১০ শতাংশ হারে চাঁদা বাবদ কর্তন করা হয়। আগে এই চাঁদার পরিমাণ মোট ৬ শতাংশ ছিল। ৪ শতাংশ অতিরিক্ত কর্তন করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা অবসর কল্যাণ অফিস ঘেরাও এবং মানববন্ধন করেছেন।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, ‘অতিরিক্ত সুবিধা না দিয়ে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তন যে কোনও যুক্তিতে অগ্রহণযোগ্য। আদালতের আদেশের আগেই অবসর-কল্যাণ ট্রাস্টের এককালীন সুবিধার পরিবর্তে সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ পেনশন এবং অবসর ভাতা চালু করা উচিৎ।’
বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল বাশার হাওলাদার বলেন, ‘গত বছর অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। উচ্চ আদালতের আদেশের আগেই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন স্থগিত অথবা অতিরিক্ত কর্তনের জন্য অবসর ও কল্যাণের সুবিধা বৃদ্ধির দাবি জানান।’
অতিরিক্ত কর্তন বন্ধের রুলের বিষয়ে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আলী শেখ বলেন, ‘এমপিও থেকে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তন সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। অতিরিক্ত কর্তন বন্ধে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে বিটিএ। বিটিএর পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আদালত নির্দেশনা দেওয়ার আগেই যাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অতিরিক্ত চাঁদা কর্তন বন্ধের আদেশ জারি করা হোক।