চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃশহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ও বীরবিক্রম মহিবুল্লাহর আজ ১০ ডিসেম্বর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। দেশ স্বাধীনের মাত্র ৬ দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে খুলনাকে শত্রু মুক্ত করার অঙ্গিকার নিয়ে রণতরী পলাশ, পদ্মা ও গানবোট পানভেল নিয়ে যাত্রাকালে শিপইয়ার্ডের অদূরে বিমানের নিক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণে ‘পলাশে’ থাকা এ দুই সূর্যসন্তানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের মৃতদেহ রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে সমাহিত করে।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বাঘপাঁচড়া (বর্তমান রুহুল আমিন নগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আজহার পাটোয়ারী ও মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে ঘাঁটি থেকে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ৯ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন।
অপর দিকে বীরবিক্রম মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ ১৯৪৪ সালের ৩১ আগস্ট চাঁদপুরের শাহেদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. সুজাত আলী ও মায়ের নাম রফিকাতুন্নেছা। তিনি ১৯৬২ সালে নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং একই সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তার গ্রামের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। দেশ স্বাধীনের পর রুহুল আমীনকে বীরশ্রেষ্ঠ ও মহিবুল্লাহকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ দুই শহীদ বীরের স্মরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে রূপসা প্রেসক্লাব। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১০ ডিসেম্বর সকালে মাজার প্রাঙ্গণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিকালে ক্লাব মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল এবং রাত ৯টায় দুই দিনব্যাপী ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করবেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী। বিশেষ অতিথি থাকবেন এমপির সহধর্মীনি ও এনভয় গ্রুপের পরিচালক শারমিন সালাম, রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন বাদশা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার, রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন ও নৈহাটী ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বুলবুল। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এস এম মাহবুবুর রহমান।