চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসদর উপজেলাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় চলছে অতিথি পাখি শিকার। সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে এলাকার অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার করছে। এছাড়া বন্দুক ও এয়ারগান দিয়েও শিকার করা হচ্ছে অতিথি পাখি। এ কারণে সাতক্ষীরার জলাশয়-বিলগুলো এখন অতিথি পাখির জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা বিল, খড়িয়াডাঙা বিল, ধুলিহর এলাকার আছানডাঙা বিল, কোমরপুর বিল, এল্লাচর, বকচরাসহ বিভিন্ন এলাকায় দল বেঁধে আসছে সাদা বক, বালহাঁস, পানকৌড়ী, (গলা লম্বা) সারসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি।
ধূলিহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু জানান, বিভিন্নস্থানে পাখি শিকার করছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। ৫-৭ দিন আগে যুগিপোতা বিলে রাতের আঁধারে অতিথি পাখি শিকার হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গেলে শিকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকার সবাইকে পাখি শিকার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ধূলিহর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবলুর রহমান জানান, তিনি কোমরপুর বিলে নিয়মিত ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করেন। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সেখানে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়, ধরা পড়েনি একটি পাখিও।
কোথায় পাখি শিকারে গিয়েছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কোমরপুর বিলে, তবে একটাও পাখি পাইনি। চিংড়ি, পুঁটি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ খাওয়ার লোভেই অতিথি পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে আসে এ দেশের খাল-বিলে। তবে পাখিদের আবাসস্থলগুলো এখন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। একশ্রেণির চোরা শিকারী পাখির অবাধ বিচরণে এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশ। শুধু সাতক্ষীরা সদর নয়, বিভিন্ন উপজেলায়ও রয়েছে এমন পাখি শিকারের অভিযোগ।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, বিভিন্নস্থানে অতিথি পাখি শিকারের অভিযোগ পেয়েছি। ইতোপূর্বে সবাইকে অতিথি পাখি শিকার না করতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। এরপরও যারা অতিথি পাখি শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অতিথি পাখি শিকারের সময় স্থানীয়রা একটু তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।