অনলাইন ডেস্কঃবগুড়ায় বন্যা কবলিত তিন উপজেলার দুটিতে পানি কমলেও অপরটিতে বেড়ে পানি। যমুনা নদীতে পানি কমে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন দুটি উপজেলায় দুই এক দিনের মধ্যে পানি কমে বিপদসীমার নিচে নামবে।
বাঙালি নদীর পানি কমতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। গত ২১ জুলাই যমুনা নদীর পানি ছিল ৪৩ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর। যদিও জেলার তিনটি উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটের ১৭৯টি গ্রাম এখনও জলমগ্ন রয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক জানান, তার ইউনিয়নের ৭টি চরের অর্ধশত ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও গাছপালা, জায়গা জমি এবং ফসলের মাঠ যমুনা নদী ও বাঙালির নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বানভাসিরা চলে যাচ্ছে স্বজনের বাড়ি। কেউ বা উচুঁ স্থানে গিয়ে মাচা করে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক পরিবার বাঁধে খোলা আকাশের নিচেসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, গত তিনদিনের বন্যার পানিতে সোনাতলা উপজেলায় কমপক্ষে ৭৩টি গ্রাম নিমজ্জিত হয়েছে। এর সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ। সোনাতলায় এখন পর্যন্ত ১২০টি বাড়ি সম্পূর্নরুপে ভেঙ্গে যাওয়ার হিসাব পাওয়া গেছে। আংশিক ভাঙঙ্গনের মুখে পড়েছে ৭১০টি। রাস্তাক্ষতি হয়েছে প্রায় ২২ কিলোমিটার। সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিরি বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ত্রাণ দেয়া অব্যাহত রয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনা নদীতে পানি কমে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে যাচ্ছে। সোনাতলায় কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।