চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃআগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দলের আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র বিক্রি করবে বিএনপি। সোমবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে যারা দলের আগ্রহী প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পত্র বিতরণ করা হবে ২৬ ডিসেম্বরের সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টায় এবং জমা দেবেন ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার মধ্যে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার হবে ২৮ ডিসেম্বর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির করপোরশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। আমরা মনে করি যে, হঠাৎ করে তড়িঘড়ি করে ঘোষণা করা হলো। যেটার পেছনে নির্বাচন কমিশনের যে মূল উদ্দেশ্যটা থাকে সেই উদ্দেশ্যটাই আছে বলে আমরা আবার আশঙ্কা করছি যে, তারা সরকারি দলকে জেতানোর জন্যই এই ধরনের তাড়াহুড়া করে একটা তফসিল ঘোষণা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোতে অংশ নেবো এবং আমরা নিচ্ছি। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা এই নির্বাচনেও অংশ নেবো। তবে সেটা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে যে পরিবেশ-পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ইভিএম সিটি নির্বাচনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছেন যে, পুরো নির্বাচনটা ইভিএমে হবে। এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক এবং আমরা এই সিদ্ধান্তে নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বলতে চাই- ইভিএমে যথেষ্ট সুযোগ থাকবে ভোটের ফলাফলকে মেনুপুলেট করার, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার। সেজন্য আমরা এই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করছি।
সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না বলে এটা দলীয়ভাবে ঠিক করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিটি দিয়েছে। এজন্য সংস্থাটি আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শুধু দেশে নয়, এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার যে নাটক করছেন, তাকে প্রপার ট্রিটমেন্ট দিচ্ছেন, তাকে তার প্রাপ্য যে জামিন সেই জামিন দিচ্ছেন না- তারা কনসার্ন (উদ্বিগ্ন) হয়ে উঠছেন এবং তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।