আন্তর্জাতিক ডেস্কঃআমরা চীনের সাংহাইয়ে কিংপু জেলের বিদেশি বন্দি। আমাদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। মানবাধিকার সংগঠনকে খবর দিন। এই লিংকটা নিয়ে পিটার হামফ্রির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মেয়ের বন্ধুদের জন্য উপহার হিসেবে সুপারমার্কেট থেকে ক্রিসমাস কার্ড কিনেছিলেন লন্ডনের এক নারী। কার্ড খুলে তার মেয়ে দেখে, তাতে এমন লেখা রয়েছে। মা-বাবাকে ডেকে তা দেখায় সে।
এদিকে চীনের সরবরাহকারীর সঙ্গে ইতিমধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ওই সুপারমার্কেট সংস্থা টেসকো। তবে নিজেদের দেশের কারাগারে বিদেশি বন্দিদের দিয়ে জোর করিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চীন।
টেসকো জানায়, বিষয়টি জানতে পেরে গত শুক্রবার এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। আপাতত ক্রিসমাস কার্ড বিক্রিও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, গত দুবছর ধরেই সাংহাইয়ের কিংপু কারাগারে বিদেশিদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে।
তবে ওই রিপোর্টকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে টেসকোর সরবরাহকারী সংস্থা এবং চীন সরকার। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াংয়ের দাবি, ব্রিটিশ সংবাদপত্রের সাংবাদিকই এ ধরনের নাটকীয় রিপোর্ট বানিয়েছেন।
যে প্রেসে ওই কার্ড ছাপানো হয়েছিল, সেই ঝেজিয়াং ইয়ানগুয়াং প্রিন্টিংয়ের দাবি, এ বিষয়ে কিছুই শোনেননি তারা। এমনকি ওই কার্ড আদৌ তাদের প্রেসে ছাপানো হয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে ২০১৩ সালে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, হ্যালুইন উপলক্ষে কেনা জিনিসপত্রের মধ্যে চীনের এক সাবেক কারাবন্দির একটি আর্তিভরা চিঠি পেয়েছিলেন আমেরিকার ওরেগনের এক নারী।
তাতে ওই কারাবন্দি লিখেছিলেন– ‘স্যার, আপনি যদি কখনও এই জিনিসটি কেনেন, তা হলে বিশ্ব মানবাধিকার সংগঠনে এই চিঠিটি পাঠিয়ে দিন। এখানে হাজার হাজার মানুষ চীনের কমিউনিস্ট সরকারের দ্বারা নিপীড়িত।’
এ ধরনের ২০টি চিঠি বিভিন্ন দ্রব্যে ভরে দিয়েছিলেন ওই কারাবন্দি। পরের বছর উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক বাসিন্দা নতুন কেনা একটি প্যান্টের পকেট থেকে একটি নোট পেয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল– ‘আমাদের দিনে ১৫ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। যে খাবার জোটে তা কুকুর বা শূকরকেও কেউ খেতে দেবে না।