চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ যুবককে হাত-পা বেঁধে মায়ের সামনে নির্যাতন করেছেন গ্রাম্য মাতাব্বর। আর ওই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এদিকে হাত-পা বেঁধে যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামের পূর্বপাড়ায়।
নির্যাতনের শিকার যুবক কাজিয়াতল গ্রামের রাখাল চন্দ্রের ছেলে রাজু চন্দ্র। অভিযুক্ত মাতাব্বর আবু তাহের দারোরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বর্তমান আমির। তিনি দুই দলেরই ইউনিয়ন কমিটির পদে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার নির্যাতনের শিকার রাজু চন্দ্রের বড় ভাই সজল চন্দ্র বিশ্বাস মাতাব্বর আবু তাহেরকে আসামি করে কুমিল্লা মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা যায়, গত (২৫ ডিসেম্বর) বুধবার বিকালে হাত-পা বেঁধে ওই যুবককে অমানুসিকভাবে নির্যাতন করেন মাতাব্বর আবু তাহের। বাধায় কাজ না হওয়ায় নিরব প্রতিবাদে সেই নির্যাতনের দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাতর হয়ে দেখেছেন মা। ওই ঘটনাটি উপস্থিত কেউ মোবাইলে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এক দিনের মধ্যে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, জামা-কাপড় খুলে যুবকের হাত পা বেঁধে শীতের মধ্য মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। পা দিয়ে মুখে ও বুকে লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে অজ্ঞান করা হচ্ছে। এরপর আহত ও ক্রন্দনরত যুবকটিকে টানা কয়েক দফা লাথি মারতে থাকেন ওই মাতাব্বর।
ভাই সজল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ভাইয়ের উপর এমন অমানবিক আচরণের বিচার চেয়ে আমরা এলাকার অন্যান্য সর্দার ও মাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখন ক্লান্ত প্রায়। মাতাব্বর আবু তাহেরের বিচার চেয়ে আমি মুরাদনগর থানায় মামলা করেছি।
মুরাদনগর ইউনিয়নের দারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান (বিএসসি) বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নির্যাতনের ভিডিওটি দেখেছি। অভিযুক্ত ওই মাতাব্বর যুবকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পা দিয়ে আঘাত করে অমানবিক আচরণের পরিচয় দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম বলেন, যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলার হয়েছে। আসামি পালাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে মাঠে রয়েছে।