ক্রীড়া ডেস্কঃসাকিব আল হাসান থাকলে কি আর বেন স্টোকসের জায়গা হতো? একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে হয়ে যাবে। নিষিদ্ধ হওয়ার পর যখন আইসিসি সাকিবের নাম র্যাংকিং তালিকা থেকে মুছে দেয়, তখন সাকিবের ধারেকাছে ছিলেন না এই স্টোকস। কিন্তু দুই মাসের মধ্যেই তিনি কি-না বিশ্বের এক নাম্বার ওয়ানডে অলরাউন্ডার। বলতে পারেন ফাঁকা মাঠেই গোলটা দিলেন স্টোকস।
অবশ্য আইসিসির র্যাংকিংয়ে যে নয়-ছয় হয় সেই বিতর্ক নতুন নয়। এইতো সম্প্রতি এ নিয়ে কথা বলেন মাইকেল ভন। তাদের এই র্যাংকিং ফর্মুলাকে আবর্জনার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
ভনের কণ্ঠে, ‘আইসিসি র্যাংকিং নিয়ে সত্যি কথাটা বলতেই হবে। আমি মনে করি ওগুলো শুধুই আবর্জনা। নিউজিল্যান্ড গত দুই বছরে অনেক সিরিজ জিতেছে এটা মনেই রেখেই বলছি ওরা কীভাবে দুইয়ে থাকে। ইংল্যান্ড টেস্টে তৃতীয় (আসলে চতুর্থ) স্থানে রাখাটাও তো ভুল।’
উল্লেখ্য, জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর তথ্য পেয়েও গোপন করায় এক বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন সাকিব। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ২২ গজ মাতাচ্ছেন সাকিব। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর অদ্যাবধি খেলেছেন ২০৬টি ওয়ানডে ম্যাচ। যেখানে রান করেছেন ৬ হাজার ৩২৩। বল হাতে নিয়েছেন ২৬০ উইকেট।
ওয়ানডের পাশাপাশি ক্রিকেটের বাকি দুই ফরম্যাট টি২০ ও টেস্টেও তিনি সমানভাবে উজ্জ্বল। এখন পর্যন্ত ৫৬ টেস্টে অংশ নিয়ে করেছেন তিন হাজারের বেশি রান। পাশাপাশি ঝুলিতে পুরেছেন ২১০ উইকেট। আর টি২০’তে ৭৬ ম্যাচ খেলা সাকিবের রান ১ হাজার ৮৯৪। বিপরীতে উইকেট শিকার করেছেন ৯২টি।