চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃউগ্রবাদ দমনে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ঢাকা কলেজে আয়োজিত সহিংসতা বিরোধী জাতীয় আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও ‘উগ্রবাদ বিরোধী’ শিক্ষার্থী সংলাপ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোন অশুভ শক্তি দমনে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। যাদের ভেতরে উগ্রবাদের চিন্তা আছে সুযোগ বা পরিবেশ পেলেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সেটি মাথায় রেখেই বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের ভেতর এখন স্বীকৃত যে, সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে গেলে শুধুমাত্র শক্তি প্রয়োগ নয়, এর পাশাপাশি মানসিক উৎকর্ষ সাধনের চেষ্টা করতে হবে।’
সাধারণত শিক্ষার্থীরাই উগ্রবাদের দিকে বেশি ঝুঁকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসবাদকে একটা ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করছে তারা তরুণদেরকে টার্গেট করে। আর তাই তরুণদের মধ্যে যদি আমরা মানসিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে পারি তাহলে তারা উগ্রবাদের পথে তো যাবেই না বরং তারাই এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। তরুণরা যে কোন শুভ পরিবর্তন আনতে পারে। কারণ সেই সক্ষমতা তরুণদের আছে। এজন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সৃজনশীল কাজ যেমন, খেলাধুলার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখতে হবে।’
আয়োজন সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘উগ্রবাদের বিপরীত হলো ক্রিটিক্যাল থিংকিং, যেটা যুক্তিতর্ক অর্থাৎ যেখানে অস্ত্রের ব্যবহার হবে না। যেখানে লড়াই হবে যুক্তির। সেই বোধটিকে শাণিত করার জন্যই আমাদের এই আয়োজন।
ঢাকা কলেজে এমন আয়োজনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ ও ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ। ঢাকা কলেজ এমন আয়োজনের জন্য পুলিশকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এই তিন দিন ব্যাপী সহিংসতা বিরোধী জাতীয় আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এবং ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬০টি বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করবে।
ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সহযোগিতায় ৩ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।