চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপ্রকাশিত হয়েছে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী সারাদেশে শিক্ষকদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হলেও দুই জেলায় বন্ধ থাকবে এ কার্যক্রম। কোটা অনুসরণ না করার অভিযোগে আদালতের রিটের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, নওগাঁ ও ভোলা জেলায় নিয়োগ কার্যক্রমে নারী-পুরুষ কোটা অনুসরণ হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে এ বিষয়ে একটি রিট দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাকে রিট শুনানির কাগজ তুলতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতে জবাব দেওয়া হবে।
সচিব আরও বলেন, যেহেতু রিটে নওগাঁ ও ভোলা জেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এ কারণে এ দুটি জেলায় শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে। বাকি সব জেলায় ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে চূড়ান্তভাবে পাস করা প্রার্থীদের যোগদান ও পদায়নের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক পদে পাস করা প্রার্থীদের শূন্যপদে ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের পদায়নের আদেশ জারির ঘোষণা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
অধিদফতর থেকে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ- ২০১৮ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ১২ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করা হবে। ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ডাকযোগে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাঠানো হবে। কোনো প্রার্থীর নিয়োগপত্র জারি না হলে তাদের তালিকা ২০ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।
১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন শিক্ষকদের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। ১৭ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পদায়নের আদেশ জারি হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে এ তথ্য পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার নিদের্শনাবলী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়।