চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) জেনারেল কাসেম গোলাইমানি হত্যার বদলা নিতে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দিনেই ১৭৬ আরোহীসহ বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বিমান। ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক তাদের অনুসন্ধানে দাবি করে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে তেহরান বিমান ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে। এরপর থেকেই সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষোভে উত্তাল ইরানে শুক্রবার নিজেই জুমার নামাজের ইমামতি করেন আয়াতুল্লাহ আল খামেনি।
জুমার নামাজের সময় দেওয়া ভাষণে ইরানি নাগরিকদের ঐক্যের ওপর জোর দেন আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। ইরানের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেওয়ার নামে মিথ্যা বলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের সবচেয়ে কার্যকর কমান্ডার উল্লেখ করে খামেনি বলেন ট্রাম্প তাকে কাপুরুষিতভাবে হত্যা করেছে।
ওই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইরাকের মার্কিন সেনা অবস্থানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাতে পরাশক্তি হিসেবে আমেরিকার সম্মানে আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করেন আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিতাড়িত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত শাস্তি হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার খামেনির ইমামতিতে জুমার নামাজ আদায় করতে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। তেহরানের কেন্দ্রীয় মিলনায়তন ছাড়িয়ে মানুষ আশপাশের রাস্তায়ও সমবেত হয়। বক্তব্যের মাঝে মাঝেই ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ স্লোগান দিতে থাকে সমবেতরা।