চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকোনো কারণ ছাড়াই ভরা মৌসুমে খুলনায় অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। ইতোমধ্যে বাজারে নতুন চালে ভরে গেছে। এরপরও বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে দেড়শ’ টাকারও বেশি। মিল মালিকদের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীরা। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে দেড়শ’ টাকারও বেশি।
গত বুধবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্না) ২৮ থেকে ৩০ টাকা, ২৮ বালাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট (নিম্নমানের) ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, বাসমতি ৪৮ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া নগরীর পাইকারী বাজারে মোটা চাল (স্বর্না) ২৭ টাকা, ২৮ বালাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৪৮ টাকা, মিনিকেট (নিম্নমানের) ৪৫ টাকা, বাসমতি ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল ২৭ টাকা, ২৮ বালাম ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, মিনিকেট (নিম্নমানের) ৪৪ থেকে ৪৪ টাকা, বাসমতি ৪৮ থেকে ৫৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ করেই চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আর বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মিল থেকে বাড়তি দামে চাল কেনায় তাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা দোষারোপ করছেন মালিকদের। তাদের মতে, বাজারে চাল বিক্রি কম হলেও ইচ্ছামাফিক দাম বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া বাজারে নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দাম বৃদ্ধির কোনো যুক্তিকতা নেই।
নগরীর বড় বাজার এলাকার মেসার্স সাগর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুর রব শেখ বলেন, বাসমতি চাল বস্তপ্রতি ১০০ থেকে ১২৫ টাকা, মিনিকেট চাল বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ৭৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেসার্স দিনাজপুর ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোঃ ফারুক শেখ বলেন, ‘চালের বাজার অনেকটা বাড়তি। খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ খায়রুল আলম খোকন বলেন, চালের বাজার একটু বাড়তি। মানভেদে মিনিকেট চাল বস্তাপ্রতি অন্তত দেড়শ’ টাকা বেড়েছে।’ খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, ‘চালের দাম বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকার বেশি বেড়েছে। তিনি বলেন, নতুন চাল বাজারে উঠতে শুরু করেছে। এরপর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন, মাত্র পাঁচ-ছয় দিনে ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি দেড়শ’ টাকার বেশি বেড়েছে। এখন চালের বিক্রি কম হলেও মিল মালিকরা এ দাম বাড়িয়েছেন। সেখান থেকে বেশি দামে চাল কেনায় আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। মিল মালিকরা চালের দাম কমালে বাজার নেমে আসবে।