ফুলবাড়ীগেট(খুলনা)প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া সদর(৩নং) ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ইউনিয়ন বাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গ্রাম আদালতের ইখতিয়ারভুক্ত মামলা দ্রুততম সময়ে নিস্পত্তি এবং আর্থিক শা¯্রয়ের কারণে গ্রাম আদালতের দারস্থ হচ্ছে ইউনিয়বাসী। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ছোট-খাটো অপরাধ স্থানীয় পর্যায়ে পরিষদ কর্তৃক গঠিত গ্রাম আদালতের শালিসী প্যানেল শুনানী শেষে অল্প সময়ে বিনা খরচে কাংখিত বিচার পাওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষ এখন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের দিকে ঝুকছে।
দিঘলিয়ার ৩নং ইউনিয়নের গ্রাম আদালত সুত্রে জানাগেছে, শুরু থেকে গত ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত দিয়লিয়া সদর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে মোট ১৬৪টি মামলা নথিভুক্ত হয় এছাড়া উচ্ছ আদালত থেকে ১২টি মামলা কার্যক্রম পরিচালনায় জন্য এই আদালতে অন্তরভুক্ত হয়। নথিভুক্ত মামলার মধ্যে সমাধানকৃত মামলা ১২০টি, বাস্থবায়ন হয়েছে ৯৮টি এবং মিমাংসাকৃত মামলার সংখ্যা ৫১টি। মামলার নারী আবেদনকারী সংখ্যা ৬৯টি এবং বিচারিক প্যানেলের নারী সদস্য সংখ্যা ছিলো ১৩৮জন। এই আদালতের মাধ্যমে মালার নিষ্পত্তিকৃত ক্ষতিপুরণ আদায় হয়েছে ২৯ লক্ষ ২০ হাজার ২৬৭ টাকা। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং সুফল জনসাধরণের মাঝে প্রচারে
৩২৫টি উঠান বৈঠক, ৩৯৪টি কাউন্সিলিং, ৩টি শিয়ারিং মিটিং এবং মুখ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইউ.এন.ডিপি এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ওয়েভ ফাইন্ডেশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(২য় পর্যায়) প্রকল্প। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে দেশের ইউনিয়ন গুলোতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
ইউনিয়নের বাসিন্দাদের লঘু অপরাধ ইউনিয়নের অভ্যান্তরে স্থাপিত গ্রাম আদালত জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের এবং উভয় পক্ষের সিলেকশনকৃত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই গ্রাম আদালতের ফলে দেশের আদালত গুলোতে কিছুটা হলেও চাপ কমেছে।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ মোল্যা বলেন, সরকারের গেজেটভুক্ত গ্রাম আদালতের সুফল ইতিমধ্যে জনগণ ভোগ করতে শুরু করেছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় গ্রামের সাধারণ অসহায় ও দরিদ্র মানুষ আর্থিক ভাবে যেমন শা¯্রয় হয়েছে তেমনি আদালতের উপর থেকে চাপ কমেছে। এলাকায় শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে গ্রাম আদালতে বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।