চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃইকরি, টুকটুকি, হালুমের মাধ্যমে আমাদের শিশুদের মাঝে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিচ্ছে সিসিমপুর। তাই দেশের সব চ্যানেলেরই সিসিমপুর অনুষ্ঠানটি দেখানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, শিশুদের ভারী ভারী বইয়ের বোঝার হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সিসিমপুরের মতো আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদানের অনুষ্ঠান বেশি বেশি হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিসিমপুরের ১২তম সিজনের উদ্বোধনী আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, শিশুদের আনন্দময় শৈশব উপহার দেয়া সিসিমপুরের পথচলা কখনো শেষ হবে না। আর এ জন্য তিনি সিসেমি ওয়ার্কশপ এবং ইউএসএআইডিকে ধন্যবাদ জানান।
বিভিন্ন স্কুলের শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে রাজধানীর বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ইউএসএআইডি বাংলাদেশের জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা অফিসের পরিচালক জারসেস সিধওয়া, সিসিমপুরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব খ. ম. হারূন, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু, জ. ই. মামুন, দুরন্ত টেলিভিশনের সিইও অভিজিৎ চৌধুরী, অনুষ্ঠান প্রধান আলী হায়দার এবং সিসিমপুরের নির্বাহী প্রযোজক মনোয়ার শাহাদাত দর্পণ।
ইউএসএআইডির আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত সিসিমপুর, ৩-৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিশুদের জন্য একটি প্রাকশৈশব শিক্ষা কর্মসূচি। সিসিমপুরের দ্বাদশ সিজন দুরন্ত টিভিতে দুপুর সাড়ে ১২টা ও বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রচারিত হয়।