চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযুব বিশ্বকাপের ১৩টি আসরের মধ্যে দুইটি আসর আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশ থেকে ২০০৪ এবং ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে নিয়ে যায় পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সে বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে দুবাই হয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৬ ফ্লাইটে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ যুব দল। সেখান থেকে তারা সরাসরি চলে আসে হোম অব ক্রিকেটখ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ মিরপুর পৌঁছায় ফারভেজ-রকিবুলরা।
এর আগে বিমানবন্দরে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির অন্যান্য পরিচালকরা।
ফুলেল শুভেচ্ছার পর বিশেষ বাসে চড়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওয়ানা করে আকবর আলীরা। বিশেষ বাসটিতে লাল-সবুজে সাকিব-অভিষেকদের বিশ্বজয়ের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
মিরপুরে পৌঁছানোর পর ক্রিকেটারদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয় বিসিবি। এবার আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেবে বিসিবি। স্টেডিয়ামের মূল গ্রাউন্ডেই অনুষ্ঠিত হবে এই সংবর্ধনা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান দেখতে ইতোমধ্যে মিরপুরের গ্যালারিতে জড়ো হচ্ছে দর্শকরা।
ক্রিকেটারদের মিরপুরে দেওয়া হবে লাল গালিচা সংবর্ধনা। সেজন্য ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামের মূল ফটকের প্রধান গেটে বিছান হয়েছে লাল গালিচা। বিসিবি সিইও বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে। তারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। বাড়িতে সবার পরিবার এবং এলাকার মানুষ অপেক্ষা করছে। যাদের পরিবার ঢাকায়, তারা রাতেই চলে যাবে। আর ঢাকার বাইরের ছেলেরা যাবে পরের দিন।’
ছুটি শেষ হলে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের জমকালো অনুষ্ঠান করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা পাবেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের খেলোয়াড়রা। যুবাদের এই সাফল্য মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেখা হচ্ছে।