চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনায় একই রাতে তিনটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতের পৃথক পৃথক সময় এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এর মধ্যে মহানগরীর হরিণটানা থানার শ্মশান ঘাট এলাকায় আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধা ভিক্ষুক (৬০) নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে নগরীর পশ্চিম রূপসা এলাকায় রূপসা স্ট্যান্ড রোডের তেরোগোলা এলাকার স-মিলের কাঠের আড়তে আগুন লেগেছে। এছাড়া খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার জামান জুট মিলেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা জানায়, রাত ১২ টার দিকে হরিণটানার শ্মশান ঘাট এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে আগুন লাগে। খবর পেয়ে খুলনা সদর স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত ১ টার দিকে কোকাকোলা গোডাউনের পাশের স-মিলের কাঠের আড়তে আগুন লাগে। খবর পেয়ে টুটপাড়া স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়া রাত ১ টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার জামান জুট মিলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে খুলনা স্থল-কাম নদীর সাইট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো কায়েমুর জামানের নেতৃত্বে সেখানে দুইটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে হরিনটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, হরিণটানা থানার শ্মশান ঘাট এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে আগুন নেভানোর পর এক বৃদ্ধার মরদেহ পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। তার বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। প্রাথমিক ভাবে তার নাম বা পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীরা জানিয়েছেন, তিনি পেশায় ভিক্ষুক ছিলেন। শ্মশান ঘাট এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে একা বসবাস করতেন।
রূপসা স্ট্যান্ড রোডের তেরোগোলা এলাকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহজালালের স-মিল ও বিসমিল্লাহ স-মিল পাশাপাশি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে কোন একটি স-মিল থেকে আগুণের সূত্রপাত ঘটে। এতে স-মিল থেকে রূপসা নদীর পার পর্যন্ত প্রায় ৮-১০টি জ্বালানী কাঠের দোকান পুড়ে যায়।