বিনোদন ডেস্কঃকবরী, এক অনবদ্য অভিনেত্রীর নাম। ঢাকাই চলচ্চিত্রে যে কয়জন অভিনেত্রী খ্যাতির চূড়ায় অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে তিনি। নিজের অভিনয়শৈলীর মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে আজও জায়গা নিয়ে আছেন।
অভিনয় করে যেমন খ্যাতি-যশ অর্জন করেছেন, তেমনই অভিনয় করতে গিয়ে অনেক কষ্টও করেছেন। এক সময় লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন শব্দগুলোর সঙ্গে মিশে থাকা এ অভিনেত্রীকে এখন অভিনয়ে আর দেখা যায় না। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে সেখানেও আগের মতো ব্যস্ততা নেই এ অভিনেত্রীর।
অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতির চূড়ায় থাকলেও কেন এখন আর আগের মতো অভিনয়ে দেখা যায় না জানতে চাইলে কবরী বলেন, ‘‘আমার অভিনয় করার ইচ্ছা এখনও আছে। আগের মতো অভিনয় করার অনুরোধ অনেক বেশি না এলেও যেগুলো আসে তাতে অনেক সময় গল্প বা চরিত্র পছন্দ হয় না। মা বা অন্য কোনো বয়স্ক চরিত্রে এখন আমার হয়তো অভিনয় করতে হবে কিন্তু মায়ের চরিত্রটিই যদি সুন্দর না হয় তবে কেন অভিনয় করব। তবে একটি চলচ্চিত্রে কিছুদিন আগে কাজ করেছি। ‘মন দেব মন নেব’ নামে ছবির বিশেষ একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। ছবির পুরো কাজ এখনও শেষ হয়নি। আপাতত বন্ধ আছে। এ ছাড়া অন্য কোনো ছবির কাজ হাতে নেই।”
অভিনয়ের জন্য মন কতটা টানে এখন? কবরী বলেন, ‘আমি তো অভিনয়ের মানুষ। অভিনয় না করতে পারলে কি ভালোলাগবে? ভালো গল্প ও চরিত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অভিনয় করে যেতে চাই।’
এখন সময় কীভাবে কাটে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজ আছে। সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। ইদানীং বই পড়ার প্রতি মন টানছে খুব। কিছু বই পড়ছি। পাশাপাশি লেখালেখিও করি। এভাবেই দিন কেটে যায়। লেখালেখিতে নিয়মিত হব। পত্রিকার কলাম এখন আমাকে খুব টানে। পত্রিকায়ও লেখালেখি করা ইচ্ছা আছে।’
সম্প্রতি এ অভিনেত্রী নিজের লেখা গল্প নিয়ে একটি ছবি নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পেয়েছেন। ছবির নাম ‘এই তুমি সেই আমি’। ছবির জন্য এখনও শিল্পী নির্ধারণ করা হয়নি। তিনি অভিনয় করবেন কিনা তাও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন। কবে নাগাদ ছবির শুটিং করবেন তাও বলতে পারছেন না।
চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯৫০ সালের ১৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন কবরী। ষাটের দশকে সুভাষ দত্তের ‘সুতরাং’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। তখন তার নাম ছিল মিনা পাল। এর আগে ১৯৬৩ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে নৃত্যশিল্পী হিসেবে মঞ্চে অভিষেক হয় তার। ‘সুতরাং’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই ব্যাপক পরিচিতি পান। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।