চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ‘পরিবর্তনশীল ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখোমুখি প্রতিবেশে প্রত্নতাত্ত্বিক মাঠকর্মের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চল’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনার আজ (বৃহস্পতিবার) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রাচীন স্থাপনা বা পুরাকীর্তির মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাজ সীমাবদ্ধ নয়। প্রত্নতত্ত্বের পরিধি ব্যাপক বিস্তৃত। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু প্রত্নতত্ত্বের অন্যতম উপাদান। প্রত্নতত্ত্বের মাধমে কোন অঞ্চলের ইতিহাস, ঐহিত্য ও জলবায়ু সম্পর্কে জানা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় অতীতে মানুষ যেসকল কৌশল অবলম্বন করেছে তার অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই প্রস্তুতি নিতে বক্তারা পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে খুলনা ও বরিশাল বিভাগে সংরক্ষিত পুরাকীর্তির সংখ্যা ১১০টি এবং দুইটি বিভাগীয় জাদুঘরসহ মোট আটটি জাদুঘর রয়েছে। এসব জাদুঘরের মাধমে দর্শক, পর্যটক ও গবেষকদের প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে সেবা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয়
কর্মকর্তা মো. বশিরুল-আল-মামুন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আহমেদ জিয়াউর রহমান। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বাধীন সেন। সভাপতিত্ব করেন প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক আফরোজা খান মিতা। স্বাগত জানান সহকারী পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী, শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।