আন্তর্জাতিক ডেস্কঃমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্থাপিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার জেরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার বিবাদ বেড়েছে। ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি। এর ওপর লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের বিরোধ তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি নেতারা মনে করছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর শক্তির কেন্দ্র হচ্ছে ইরান। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে সামনে রেখেই ইসরায়েলে হামলার ছক কষছে এ দুটি সংগঠন।
গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামাস ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে তাদের সাহস দিচ্ছে ইরান।
নাফতালি বেনেত মনে করেন, ইরান সমর্থন দিচ্ছে বলেই হামাস ও হিজবুল্লাহ শক্তি দেখাতে পারছে। আর হুমকি দিতে পারছে ইসরায়েলে হামলা চালানোর।
একই ধরনের অভিমত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী যত পরিকল্পনা তার সবই হচ্ছে ইরানের নেতৃত্বে। তাই ইরানকে দমাতে পারলে হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনগুলোর শক্তি এমনিতেই কমে যাবে।
অন্যদিকে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনিদের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হচ্ছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। এই বাহিনী গড়েই উঠেছে মূলত মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির দূরদর্শী কিছু সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সক্ষমতা অর্জন করেছে আইআরজিসি। হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো আইআরজিসির অংশের মতোই। তাই এ দুটি সংগঠন যদি ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেও থাকে, তবে অবশ্যই তার নেতৃত্বে আছে ইরান।
সূত্র- মিডল ইস্ট মনিটর, দ্য ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট, পার্সটুডে ও জেরুজালেম পোস্ট