যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলায় কোন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিছু
মানুষ আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সেটা নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই।
এরপরও যশোর শহরের বেসরকারি নোভা মেডিকেল সেন্টার হসপিটালে অতিরিক্ত শয্যা ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, গতকাল রাতে চৌগাছার শামীম রেজা নামে একজন ফেসবুকে চৌগাছায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে পোস্ট দিলেও সে ধরনের কোন তথ্য স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে নেই বলে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জেলা কমিটির তথ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, শুধু চৌগাছা নয়; যশোরে কেউ এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়নি। ফলে ফেসবুকে দেওয়া তথ্য পুরোটায় মিথ্যা।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকালে যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষে’ গঠিত জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব জেলা সিভিল সার্জন ডা শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. প্রতিভা ঘরাই, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায়, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের, ডেপুটি সিভিল সার্জন প্রতিভা ঘরাই, যশোর মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি সুদেশ চন্দ্রসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধি, যশোর ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সভায় উল্লেখ করা হয়, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৫০ জন করোনা ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে। এছাড়া নোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরো ৫০টি শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে। সভায় আরো জানানো হয়, করোনা ভাইরাস সন্ধেহে কোন রোগী আসলে তাকে আলাদা কেবিন বা বেডে না নিয়ে প্রথমে পরীক্ষা করা হবে। তারপর করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেলে তখনই করোনা ভাইরাস সেলে নিয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, করোন ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। মাস্কসহ ভাইরাস প্রতিরোধ সংমগ্রী অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ অদালতের অভিযান পরিচালিত হবে।