সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশের আবিষ্কার | চ্যানেল খুলনা

বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশের আবিষ্কার

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস তৈরি করেছে দূর্যোগ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত এ মহামারি হয়ে ওঠেছে অপ্রতিরোধ্য। এটি দ্রুততর গতিতে একজন থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাসের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এটি বার বার মিউটেশন অর্থাৎ জিনগত গঠন নিজেই পাল্টে ফেলছে। এ কারণেই কোভিট-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অগ্রসর দেশগুলো অত্যাধুনিক গবেষণাগারগুলো ব্যস্ত এখন এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে। এরই মধ্যে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশের ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’। প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত দ্রুত ও কম মূল্যে করোনা শনাক্তের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে। প্রায় দুই মাস ধরে গবেষণার পর এই সাফল্য আসে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই আবিষ্কার বৃহস্পতিবার সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠানটিকে কিট উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচামাল আমদানি হচ্ছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে উৎপাদনে যেতে পারবে প্রতিষ্ঠানটি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ‘র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে। তারপর তিনি সিঙ্গাপুরেই গবেষণা করছিলেন ডেঙ্গুর ওপরে। গবেষণা চলাকালে তিনি দুই বছর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন। আমাদের এখানে যখন যোগ দিলেন তখন তিনি ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছিলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, যখন গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন করোনাভাইরাস দেখা দিলো তখন তিনি আমাদের বললেন, এটা (নতুন করোনাভাইরাস) হলো সার্সের রূপান্তরিত রূপ। এটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে। উনি এটা বুঝতে পেরেছিলেন। তখন আমরা কেউ চিন্তা করি নাই করোনাভাইরাস এমন হতে পারে। তিনি তখন বলেছিলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের গবেষণা করা দরকার। উনি আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। উনি সাভারে আমাদের ক্যাম্পাসে থাকেন। উনি গত দুই মাসে করোনার গবেষণা পারফেক্ট করেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, এই পদ্ধতিতে ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা যাবে। এটা করতে রিএজেন্ট লাগে। কেমিক্যাল রিএজেন্টগুলো সহজলভ্য না। এগুলো পাওয়া যায় সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা ও ব্রিটেনে। এখন এটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাই মার্কেটিং করতে যাচ্ছি। প্রচলিত কিট যেটা বিশ্ব বাজারে আছে সেটা খুবই ব্যয়বহুল। এর জন্যে একটা দামি যন্ত্র প্রয়োজন হয়। সেই যন্ত্র সব মেডিকেল কলেজে নেই। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনটা আছে। সারা দেশে এই যন্ত্র খুব বেশি নেই। আইইডিসিআরের কাছে একটা যন্ত্র আছে। এ কারণে তারা এখন পর্যন্ত মাত্র ২৬৮ জনের করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছে। অথচ আমাদের পরীক্ষা করা উচিত ছিল হাজার-হাজার।

ড. বিজন ও তার দলের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে ৩৫০ টাকায় মাত্র ১৫ মিনিটে করোনা শনাক্ত সম্ভব’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে মাত্র ৫ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বলে যাবে আপনার দেহে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কি না। এতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মতো। সরকার যদি এর ওপর ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ না করে তাহলে আমরা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বাজারজাত করতে পারব। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সরকারের মর্জির ওপরে। ডেঙ্গু টেস্টের যেমন মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল করোনা টেস্টেরও যদি মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে জনগণ স্বল্প মূল্যে সেবা পাবে। মূল্য নির্ধারণ না করে দিলে যে যার যার মতো টাকা নিবে। আমরা মাসে এক লাখ কিট সরবরাহ করতে পারব। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে প্রাথমিকভাবে এই মাসে ১০ হাজার কিট সরবরাহ করতে পারব।

https://channelkhulna.tv/

জাতীয় আরও সংবাদ

সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আরও ১৯ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিল সরকার

আমার সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সুপারিশ করলে পাত্তা দেবেন না: সারজিস

১৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৫ হাজার কোটি টাকা

উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে ক্ষোভ সারজিস আলমের, যা বললেন

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।