চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষে বিভাগীয় শহর খুলনাতে সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিশেষ খাবার পরিবেশন, জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে খুলনা পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ঐদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
২৬ মার্চ সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। সুবিধাজনক সময়ে হাসপাতাল, জেলাখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতমিখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা এবং খুলনা কালেক্টরেট জামে মসজিদে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
ঐদিন খুলনা বিআইডব্লিউটিএ রকেটঘাটে বেলা দুইটা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত স্থানীয় নৌবাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। ২৬ মার্চ ও ২৭ মার্চ সকাল ১০টা হতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি ও পুস্তক প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে। সঠিক মাপের জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন রঙ এর পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হবে।
২৬ মার্চ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা হবে। কোনক্রমেই ২৫ মার্চ আলোকসজ্জা করা যাবে না। ২৩ মার্চ ও ২৪ মার্চ খুলনা শহিদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।