চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে ইতোমধ্যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর এবং তাইওয়ান। কঠোর কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমণের তাপ অনেকটাই দমন করেছে দেশগুলো।
চীন সরকার বিষয়টিকে ‘গণযুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে ‘ফাইট অন উহান, ফাইট অন চায়না’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাছাড়া প্রেরণামূলক ছবি, বিজ্ঞাপন তৈরির মাধ্যমে যুদ্ধকালীন প্রচারের মতো প্রচারণাও শুরু করেছে বেইজিং। এমনকি অন্য দেশগুলোও চীনের নীতি অনুসরণ করে সফল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাগরিকদের সচেতনতা ও বিশ্বজুড়ে পরস্পরের সহযোগিতার মাধ্যমে আক্রান্ত রাষ্ট্রগুলো ভাইরাসটির মোকাবিলা করতে পারে। আর করোনার ক্ষেত্রে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা জরুরি। মহামারি চলাকালে উহানে ১৮ হাজার এমন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা হয়েছিল। চীন সেই প্রচেষ্টায় সফল হয়েছিল। কারণ তাদের হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক ছিল।
চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের চিকিৎসকরা হাসপাতালের ফার্মেসিগুলোতে যা কিছু ছিল তা নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তারা মূলত অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া ড্রাগ ক্লোরোকুইন এবং হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যান্টি-ভাইরাল রেমডিসিভারকে বেশি ব্যবহার করেছিল। যদিও ভ্যাকসিনগুলো ব্যবহারের কোনো অনুমতি নেই। তাছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এগুলো কার্যকর কি না, তারও কোনো প্রমাণ নেই। চীনের দুই শতাধিক ক্লিনিকে এখন পর্যন্ত পরীক্ষাটি করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ২২ হাজারের অধিক মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৮ হাজার ৮৯২ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎস