চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ করোনা তল্লাশির কথা বলে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৫ বখাটে। শনিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জামালপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে পাশবিক ঘটনাটি ঘটে।
খোঁজাখুজির পরদিন রোববার সকালে ঝিনাই নদীর ওপারে জঙ্গলে আহত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওইদিন দুপুরে কিশোরীকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৩০ মার্চ) তার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হবে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা জানায়, শনিবার রাত ৩টার দিকে করোনাভাইরাসের জন্য পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি করতে দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলে দেখি ৫/৬ জনের দল। প্রথমে তারা পানি খেতে চায়। পানি এনে দিলে আমার মেয়ের হাত ধরে জোর-জবরদস্তি শুরু করে। বাধা দেয়ায় গলায় ধারালো ছুড়ি ধরে মারধর করে তাকে কোলে তুলে নিয়ে যায় তারা। সেখানে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
তিনি জানান, ৫ জনের মধ্যে একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে পুষন ও ওর বন্ধু টগার চরের মিজানকে চিনতে পারি। খোঁজাখুজির পর পরদিন রোববার সকালে ঝিনাই নদীর পড়ে জঙ্গল থেকে আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি সালেমুজ্জামান আরও জানান, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মিজান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ (সোমবার) কিশোরীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দেশের এই দুঃসময়ে পুলিশের নাম ব্যবহার করে করোনা তল্লাশি নামে অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।