অনলাইন ডেস্কঃঅবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো, রাজউকের ইমারত পরিদর্শক এবং এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলা চারটি দায়ের করা হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সরকারি কর্মচারী হয়েও পরিচয় গোপন করে ব্যবসা করার অভিযোগে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবৈধ সম্পদের মামলায় তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ৬ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৭০৫ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ওই মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া, সরকারি কর্মচারী (পাবলিক সার্ভেন্ট) হওয়া সত্বেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিজের পরিচয় গোপন করে ব্যবসায় পরিচালনা করার দায়ে কানুনগো মো. সাইফুল ইসলামের আরো একটি মামলা দায়ের করে দুদক।
অন্যদিকে, ৪২ লাখ ৭২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। এই মামলায় ইমারত পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ৪৫ লাখ ২০ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৪২ লাখ ৭২ হাজার ১৩ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ তিনটি মামলারই বাদী হয়েছেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম।
রোববার এশিউর প্রোপার্টিজ লিমিটেডের মালিক মো. শেখ সাদীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মো. শেখ সাদী দুদকের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে মামলা সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সরবরাহ করেননি। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে তিনবার নোটিশ দেয়া হলেও কোনো রেকর্ডপত্র সরবরাহ কিংবা হাজির হয়ে বক্তব্য দেননি তিনি। এমনকি নোটিশের জবাবও দেননি। রেকর্ডপত্র না পাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে তদন্তকাজে বিঘ্ন ঘটেছে। তাই কমিশনের অনুমোদনক্রমে দুদক আইন, ২০০৪ এর ১৯(৩) ধারায় সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।