শাহ মামুনুর রহমান তুহিন:: চীনের নতুন আবিষ্কার। ন্যানোম্যাটেরিয়াল শরীরে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস শুষে নেয় এবং এরপর তাকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। আশার আলো সারা বিশ্বের জন্য।
চীনের সরকারি মিডিয়া গ্লোবাল টাইমসের এক টুইটে নতুন করে আশার আলো পেয়েছে গোটা বিশ্ব। এতে বলা হয়েছে, করোনার মোকাবিলার জন্য হাতিয়ার প্রস্তুত। চীনা গবেষকদের দাবি, এই ওষুধ প্রয়োগ করে ৯৬.৫-৯৯.৯ শতাংশ সাফল্য পাওয়া গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটটিনের খবরে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য গবেষকেরা একরকম ন্যানোমেটেরিয়াল বানিয়েছেন যা শরীরে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস শুষে নেয় এবং এরপর তাকে ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। একটি ন্যানোমিটার এক মিলিমিটারের দশ মিলিয়ন ভাগ। যা একটি মানুষের চুলের ব্যাসের চেয়ে প্রায় ১০০০০০ গুণ ছোট। ন্যানোম্যাটরিয়ালগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং স্বাস্থ্যসেবাগুলিতে তাদের ব্যবহার প্রমাণ করেছে। ন্যানো আকারের কণা প্রকৃতিতে বিদ্যমান এবং বিভিন্ন পণ্য থেকে তৈরি করা যেতে পারে। খালি চোখে এমনকি প্রচলিত ল্যাব মাইক্রোস্কোপগুলি দিয়ে দেখা যায় এমন বেশিরভাগ ন্যানোস্কেল উপকরণগুলি খুব ছোট। বৈজ্ঞানিকরা অবশ্য একে ভ্যাকসিন বা ওষুধ বলতে রাজি নন। তাদের মতে, এটি একটা জৈব অস্ত্র যাকে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ন্যানোমেটেরিয়াল হেলথকেয়ার ছাড়াও পেন্টস, ফিল্টার, ইনসুলেশন এবং লুব্রিকেট করার কাজেও ব্যবহার করা হয়। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটা দেহে প্রবেশের পর শরীরের বাকি এনজাইমগুলোর মতোই কাজ করে। আর এতেই আসে সাফল্য। এদিকে বিশ্বজুড়ে গবেষকরা এখনও নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য বিশেষত একটি ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বানানোর জন্য কাজ করছেন যা দিয়ে কোভিড ১৯-এর নিরাময় করা যায়। চিকিৎসকরা বর্তমানে শ্বাস-প্রশ্বাসের সহায়তার মাধ্যমে লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করার দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে, শনাক্ত ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৯১ জন। এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩০০৩ জন, আক্রান্ত ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৭৪। রাশিয়ায় একদিনে করোনাভাইরাসে শনাক্ত ৫০০ জন। মোট ২৩৩৭, মৃত্যু ১৮, সেরে উঠেছেন ১২১ জন। যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা ১৮০১। স্পেনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর একদিন সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। মারা গেলেন ৮৪৯জন। মোট মৃত্যু ৮১৮৯। ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় ৮১২ জনের মৃত্যু, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫৯১।
আহবায়ক, গ্লোবাল খুলনা।