উপজেলার আঁচলকোল তফসী গ্রামে সোমবার ভোরে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে একব্যক্তি মারা যাওয়ার পর সোমবার থেকে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ঘিরে রাখা হয় গ্রামটি।
৩ দিনেও মৃত ওই ব্যক্তির রিপোর্ট আইইডিসিআর থেকে না আসায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের আঁচলকোল তফসী গ্রামে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যায় ফরহাদ হোসেন নামে একব্যক্তি। এরপর আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় দাফন করা হয়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে সন্দেহে সোমবার সকাল থেকে আঁচলকোল তফসী গ্রামের ৮৩টি পরিবারের ২১৩ জন মানুষকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান জানান, জোতবানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে চারজন গ্রামপুলিশ দ্বারা গ্রামটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ওই গ্রামের কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি ওই গ্রামে কাউকে যেতেও দেয়া হচ্ছে না।
তিনি জানান, ওই গ্রামের ৮৩টি পরিবারের মধ্যে যার যার খাবার প্রয়োজন, তাদের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ দিকে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ জানান, মৃত ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কি না, তা জানা যায়নি।
তিনি জানান, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই গ্রামের ৮৩টি পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন আরও জানান,দিনাজপুর জেলায় ওই গ্রামের ২১৩ জনসহ মোট ৪৯১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।