আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয়ের) ২৬ বস্তা চাউল কালোবাজারে বিক্রয়ের প্রাক্কালে আটক করা হয়েছে। ডিলার মুজিবরকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার সকালে বড়দল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা কেজি দরে বিক্রয়ের জন্য) ডিলার বড়দল গ্রামের শাহাজ উদ্দিন সানার পুত্র মুজিবর রহমান কার্ডধারীদের চাউল দেওয়ার সময় ২৬ বস্তা চাউল আত্মসাতের লক্ষ্যে গোপনে রেখে দেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম এর নেতৃত্বে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বড়দল বাজারস্থ শাজাহান গাজীর গুদাম ঘরের মধ্যে হতে ২৬ বস্তা (যাহা সরকারী বস্তা পরিবর্তন করো সাধারণ পাটের বস্তায় ভরা ছিল) চাউল উদ্ধার করা হয়। যার ওজন এক হাজার দু’শত সত্তর কেজি। যার বর্তমান বাজার মূল্য অনুমান ৫০ হাজার আটশত টাকা। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ডিলার মুজিবর সানাকে গ্রেফতার করেন। গুদাম ঘরের মালিক বড়দল গ্রামের মৃত ঈমান উদ্দীন গাজীর পুত্র শাহজাহান গাজীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন পলাতক রয়েছেন। এব্যাপারে থানার ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর ২৫(১)/২৫ঘ ধারায় ১(০৪)২০২০ নং মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃর্ত মুজিবর সানা জানান,তিনি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর ডিলার হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর থেকেই গরীব মানুষের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এ চাল কালোবাজারে বিক্রয় করে দির্ঘ দিন যাবত । শুধু তিনিই নন এইভাবে আশাশুনি ও সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আওতায় যত ডিলার রয়েছেন প্রায় সবাই কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে খোলাবাজারে চাল বিক্রি করে দেন । আর এই কালোবাজারে চাল বিক্রির কিছু অংশ আশাশুনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ভাগ দিয়ে এ কাজ করে আসছেন । বিশেষ করে আশাশুনি এলএসডির পরিদর্শক ও উপ-পরিদর্শক এবং গুদাম,নিরাপত্তা কর্মীরা জরিত রয়েছে । সাতক্ষীরা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ভিক্তিক রয়েছে এক বিশাল সিন্ডিকেট । অনুসন্ধান করলেই বেড়িয়ে আসবে থলের বিড়াল ।