অনলাইন ডেস্কঃআচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আচার্যের জীবন ও কর্মের মধ্যে থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে সুন্দর ও মানবিক সমাজ গঠনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি তাঁর গোটা জীবনটা লেখাপড়া, গবেষণার মধ্যে কাটিয়েছেন, রসায়ন শাস্ত্রে মৌলিক অবদান রেখেছেন; পাশাপাশি অসংখ্য গবেষক তৈরি করেছেন। নিজের অর্থে ও বন্ধুদের উদ্বুদ্ধ করে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানুষকে ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন; দুর্গত মানুষদের সহায়তা করার জন্যে ত্রাণ বিতরণ, ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে নিজে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছেন; ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিয়ে সমবায় সমিতি ও সমবায় ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজি গঠনের পথ দেখিয়েছেন। মানবিক এই আদর্শ মানুষটিকে তাঁর সকল উপার্জন শিক্ষা বিস্তারে ব্যয় করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে খুলনা গুণীজন স্মৃতি পরিষদ ও আর্চায্য প্রফুল্ল চন্দ্র ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে বিএমএ মিলনায়তনে পি সি রায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে গুণীজন স্মৃতি পরিষদের সমন্বয়কারী সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন পরিচালনায় আলোচনা অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর সুশান্ত কুমার সরকার, বিএমএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আনোয়ারুল আজাদ, দৈনিক কালের কন্ঠের ব্যুারো প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী ও নারী নেত্রী এড. শামীমা সুলতানা শিলু, কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি পাল, এড. জাহাঙ্গীর আলম সিদ্দিকিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ বিজ্ঞানী আর্চায্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের যথাযথ মূল্যায়ন আমরা করতে পারিনি। তার আবিষ্কার, গবেষণা ও বিভিন্ন কর্ম এবং তার জীবনী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করে একটি গবেষনাগার ও পযর্টন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানানো হয়।