চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ মানবিকতার কাছে হার মেনেছে রাতের নিস্তব্ধতা। রাত্রি দ্বিপ্রহরে যখন প্রকৃতির কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ তখন আপন কর্মগুনের এক উদাহরণ তৈরী করেছে খুলনা জেলাধীন রূপসা উপজেলা প্রশাসন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামের মৃত নূর আহমদের স্ত্রী জরিনা বেগম (৬৫) এর মৃত্যু হয় খুলনা করোনা হাসপাতালে।
পরিবারের সদস্যরা পূর্বে থেকে ছিল লকডাউনে। আর এলাকার দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগেব্যর্থ হয়ে সাহসীনিরুপে মধ্যরাতে মৃতের দাফনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জরিনা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২২ এপ্রিল ভর্তি হন খুলনা জেনারেল হাসপাতালে। পরবর্তীতে ২৯ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষা শেষে ৩০ এপ্রিল তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। ওই দিন রাতেই তাকে খুলনা করোনা হাসপাতালে ( ডায়াবেটিক হাসপাতাল ) ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ৫ মে রাত সোয়া ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।করোনা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শেখ ফরিদউদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই নারীর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যায়। তার শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ছিলো ডাইরিয়ার সমস্যাও। এ অবস্থায় রাত সোয়া ১০ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।জরিনা বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে মধ্যরাতে রূপসা উপজেলা প্রশাসন তার দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়।
এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার, রূপসা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ কামরুল হুদা, আইচগাতি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম শেখ, আইচগাতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শামীম হাসান তুহিন, দেয়াড়া গ্রামের বুলবুল আলামিন, রাজাপুর গ্রামের হাফিজ আরমান তরিক প্রয়োজনীয় সকল কার্য সম্পন্ন শেষে রাত পৌঁনে ৪ টায় মৃতের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন।