ফকির শহিদুল ইসলামঃ সরকার যেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে সেখানে সরকারের সুনাম ক্ষুন্যে কাজ করছে বিজেএমসি । বিজেএমসির পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ব খালিশপুর,দৌলতপুর,জাতীয় জুটমিলসহ কয়েকটি জুট মিলের শ্রমিকদের সাধারন ছুটির কোন পয়সা পরিশোধ করা হবেনা মর্মে জানানো হয়েছে । ফলে বদলী শ্রমিক হাজিরায় কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ । ইতিমধ্যে খালিশপুর,দৌলতপুর জুট মিলের সিবিএ নন সিবিএ বৈঠক করে পাওনা আদায় কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা সভা করেছে । তাদের এ ছুটির পয়সা আদায়ের আন্দোলনে কৌশলগত ভাবে এরিয়ে যাচ্ছে প্লাটিনাম,ক্রিসেন্ট,স্টারসহ বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক কর্মচারী সিবিএ নন সিবিএর নেতৃবেন্দরা । প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও অজ্ঞাত কারনে তারা বদলী হাজিরায় কর্মরত শ্রমিকদের ন্যয্য পাওনার বিষয়ে তারা আন্দোলনে যাবে না । তাদের এ ঘোষনায় বিপাকে পড়ছে বদলী হাজিরায় চলমান খালিশপুর,দৌলতপুরসহ ৫টি জুট মিলের শ্রমিকরা ।
বদলী হাজিরায় কর্পামরত শ্রমিকরা জানান, বদলী পাটকল শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটি কালীন সাপ্তাহিক মজুরী দেয়া হবেনা মর্মে জানিয়েছে বিজেএমসি । সেকারনে আমাদের হাজিরা খাতায় কোন পয়সা না বসিয়ে জমা দেয়া হয়েছে সাপ্তাহিক মজুরী খাতা । আঃ জলিল(ছদ্দনাম) জানায়, আমরা পূর্বে যেখানে ৬ দিনের হাজিরায় সাপ্তাহিক মজুরী পেতাম এখন সাধারন ছুটির মজুরীর সপ্তাহ ৫দিনের হিসাবে খাতা জমা করা হয়েছে । বিজেএমসির কর্মকর্তারা মাসিক হারে ছুটির বেতন পাবে কিন্ত আমরা স্থায়ী শ্রমিকরা পাবো ২০ দিনের হিসাবে মাসের বেতন । যেখানে তাদের পাওয়ার কথা সাপ্তাহিক হিসেবে ২৪ দিনের ।
অপনদিকে খুলনাঞ্চলে বদলী হাজিরায় কর্মরত খালিশপুর,দেীলতপুরসহ অন্যান্ন পাটকল শ্রমিকরা প্রায়ত রাষ্টপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর সময় সরকারের ঘোঘিত সাধারন ছুটির পয়সা পেয়েছে অথচ প্রানঘাতি করোনার সাধারন ছুটির পয়সা দেয়া হবেনা মর্মে বিজেএমসি নির্দেশ দিয়েছে । শ্রম আইনের নিস্পত্তির বিষয় নিয়ে বিজেএমসি শুধু হয়রানী করছে বদলী হাজিরায় কর্মরত রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিকদের সাথে এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লষ্ঠি মিলগুলোর নেতৃবৃন্দরা । তারা আরো জানান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অসহায়,দুস্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য সেখানে বিজেএমসি প্রধানমন্ত্রীর এই সফল উদ্দোগকে কালিমা লেপনের পায়তারা চালাচ্ছে । সরকার প্রধানের আন্তরিকতায় বিশেষ প্রনোদনার আওতায় দেশের লক্ষ লক্ষ বেসরকারী গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরী প্রদান করা হয়েছে । আর রাষ্ট্রায়ত্ব এবং বিজেএমসির পরিচালিত বদলী হাজিরায় কর্মরত হাজার হাজার অভুক্ত শ্রমিকদের সাধারন ছুটির টাকা হতে বঞ্চিত করছে বিজেএমসি।
সূত্রমতে,বর্তমান সরকার পাটশিল্প বান্ধব সরকার । সরকার প্রধান এ শিল্পকে বাঁচাতে পাটকল গুলোর সকল দায়দেনা মওকুফ,সহজ শর্তে ঋন প্রদান, সকল মন্ত্রনালয়কে একসাথে কাজ করার আহবান,৬ মার্চকে জাতীয় পাট দিবস ঘোষনা,পাট শিল্পকে কৃষি ভিত্তিক শিল্প ঘোষনা যুগান্তকারী সিদ্ধান্তসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন এবং বাস্তবায়ন করেছে । কিন্ত মাথাভারী প্রশাসন নিয়ে চলা বিজেএমসির কারনে সরকারের সেইসব পদক্ষেপের সুফল এখাত সংশ্লিষ্ঠরা পাচ্ছেনা । পাটকল গুলো পরিচালনায় বিজেএমসির এ দ্বৈত আচারনে দেশের রাষ্টীয় খাতের পাটকলগুলো ধংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে । সাড়াদেশের পাটকলের শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায় ফেলে যে পাটপন্য উৎপাদন করে সেই পন্যের বিক্রির টাকায় তারা মাস হলেই বেতন পান । অথচ উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তারা মাসের পর মাস গেলেও সাপ্তাহিক মজুররী ও বেতন পায়না । তাদের মজুরী ও বেতনের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হয় । বিজেএমসির প্রধান কাযালয়ের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতনের জন্য কখনো আন্দোলনের প্রয়োজন হয়না । কেননা মিলগুলো উৎপাদন দেয় এবং বিক্রয় করে তাদের বেতন,,বোনাস,বৈশাখী ভাতা,অগ্রিম বেতন উত্তোলন সবই হয় শুধু হয়না শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরী । মাথাভারী প্রশাসন নিয়ে চলছে বিজেএমসি । রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলোর মাথা থেকে এই জগদ্দল পাথরটি না সরালে পাটকল শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন কখনো সম্ভব নয় বলে পাটকল সংশ্লিষ্ঠরা মনে করেন ।