বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের কচুয়ায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৪৮ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে দিকে উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে সে মারা যায়।তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিস,উচ্চ রক্তচাপ,হাঁপানি ও হাইপোথাইরয়েডিজমসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিশংকর পাইক।
তিনি বলেন,ওই নারী এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আসেন।তাঁর জ্বর ও গলা ব্যথা ছিল।বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে তার জ্বর ও অন্যান্য সমস্যা বৃদ্ধি পায়। সকালে সে মাধবকাঠি গ্রামে নিজ বাড়িতে মারা যান।আমরা করোনা পরীক্ষার জন্য ওই নারীসহ তার পরিবারের চারজন এবং আশপাশের আরও দুজনের নমুনা সংগ্রহ করেছি।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ বলেন,মারা যাওয়া ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন।যেহেতু জ্বর,গলা ব্যাথা ছিল আমরা সতর্কতার সাথে তার দাফন কাফন সম্পন্ন করেছি।নিহতের বাড়িসহ আশপাশের ১৮টি বাড়ির লোকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া বর্তমানে বাগেরহাট জেলায় ৪ জন করোনা রোগী রয়েছেন।এর মধ্যে চিতলমারী উপজেলায় ঢাকা ফেরত স্বামী-স্ত্রী এবং কচুয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম ফেরত এক নারী এবং ঢাকা ফেরত এক যুবক রয়েছেন।তবে এরা সবাই সুস্থ্য রয়েছেন।কচুয়ায় চট্টগ্রাম ফেরত ওই নারীর করোনা শনাক্ত হয় ১০ মে।ওই নারীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক,নার্স ও পরিবারের মোট ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।তারা কেউই করোনা সংক্রমিত নয় বলে জানিয়েছেন কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিশংকর পাইক।১৩ মে শনাক্ত হওয়া ঢাকা ফেরত যুবকও সুস্থ রয়েছেন।তার সংস্পর্শে আসা ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।রিপোর্ট পেলে সংক্রমনের বিষয়টি জানা যাবে।
এদিকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোঃ মামুন হাসান জানান,১১ মে টুঙ্গিপাড়া থেকে আসা স্বামী-স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়।তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এখন পর্যন্ত তারা সুস্থ্য রয়েছেন।এছাড়া তাদের সংস্পর্শে আসা ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।যাদের রিপোর্ট পেলে সংক্রমনের অবস্থা জানা যাবে।