আন্তর্জাতিক ডেস্কঃকাশ্মীরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জারি করা হয়েছে কার্ফু। নয়া দিল্লিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিনভর কয়েক দফায় বৈঠক আর পাকিস্তানের হুঁশিয়ারির মধ্যে উৎকণ্ঠার পারদ চরমে উঠেছিল কাশ্মীরে। রোববার (৪ আগস্ট) রাতে ভারতের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। এছাড়া গৃহবন্দি আছেন প্রাক্তন বিধায়ক সাজ্জাদ লোনও। গ্রেফতার সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি ও কংগ্রেস নেতা উসমান মজিদ। এর পর কী হবে, এই উদ্বেগেই এখন থমথমে কাশ্মীর উপত্যকা।
কিছু যে ঘটতে চলেছে, সে ইঙ্গিত অবশ্য মিলছিল কদিন ধরেই। অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দিয়ে হঠাৎই কাশ্মীরে বাড়ানো হয়েছিল আধাসেনার বহর। সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার খবর পেয়েই কি এই ব্যবস্থা, নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে সরকারের, জল্পনা জমছিল তা নিয়েই। ফেরানো শুরু হয়েছিল পর্যটকদের।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলেও সে কথা অবশ্য স্বীকার করেনি সরকার। তবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলেছে, শোপিয়ানের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে থানা পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।