নড়াইল প্রতিনিধিঃনড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় খুনিদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে জেলা সদর ও লোহাগড়ায় ঝাড়ু মিছিলসহ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষীপাশা এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় তিন ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার জন্য গন্ডব গ্রামের বাসিন্দারা নড়াইল জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবকে হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী করেন এবং তারসহ হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মিছিল ও সমাবেশে নিহতের স্বজনরাও অংশ নেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে তিন লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে লাশ বুঝে নেন নিহতদের স্বজনরা। এরপর স্বজনরাসহ গ্রামবাসী লোহাগড়া উপজেলা সদরে তিন লাশ কাঁধে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান।
এর আগে তিন খুনের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে নড়াইল শহরের প্রধান সড়কে আরেকটি ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর হাসপাতাল চত্বরে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গন্ডব গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা ওরফে মোস্ত মোল্যা, জালাল মোল্যা ও বালাম মোল্যা।
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, ঢাকার সিআইডির (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) ফরেনসিক শাখার ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের মদতে এ তিন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডিআইজি শেখ নাজমুল আলমের ভাতিজা সুলতান মাহমুদ বিপ্লব।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। ৯টি ঢাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিন খুনের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। আর ডিআইজি শেখ নাজমুল আলমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।