এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট থেকেঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘের অধ্যুষত জিউধরা ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলছে একটি মহল। দীর্ঘ দিনের শান্ত পরিবেশকে উত্তাপ্ত করার পায়তারায় নেপথ্যে ঘের ব্যবসা।
আধিপাত্য বিস্তার কলহ দন্দ সৃষ্টি করে ঘের মালিকদের করছে হয়রানি। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ কর্মী মহর আলী গাজীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। আতংকে রয়েছে একাধিক ঘের মালিকরা।
সরেজমিন ঘুরে জানাগেছে, মৎস্য ঘের অধ্যুষত জিউধরা ইউনিয়ন। অতিরিক্ত লবনাক্ততার কারনে আবাদি জমিতে হচ্ছেনা ধান ফসল। একমাত্র উর্পাযনের মাধ্যম মৎস্য ঘের। ইউনিয়নটিতে ছোট বড় প্রায় ৩ হাজার মৎস্য ঘের রয়েছে। এক সময়ে এ মৎস্য ঘেরগুলোতে আধিপাত্য বিস্তার করে প্রভাব খাটিয়ে অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসতো প্রভাবশালীরা।
সেই পট পরিবর্তনের পরপরই দীর্ঘ ১ যুগ ধরে জমি যার ঘের তার সরকারের এ নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে এ এলাকার ঘেরগুলো। নিজ নিজ জমির মালিকরা করছে ছোট বড় ঘের। আবার অনেকেই বার্ষরিক হাড়ির টাকা পরিশোধ করে মৎস্য ঘের করছেন ওই এলাকার হাজার হাজার ঘের ব্যবসায়ী। দীর্ঘ দিনের শান্ত পরিবেশকে নতুন করে অসান্ত সৃষ্টির অপচেষ্টায় মেতে উঠেছে একটি মহল বলে একাধিক ঘের ব্যবসায়ীরা জানান। আতংক রয়েছে ঘের ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
কথা হয় উত্তর ডেউয়াতলা গ্রামের মৃত. গোলাম গফুর গাজীর পুত্র আওয়ামী লীগ কর্মী মহর আলী গাজী বুকে ঝুলানো রয়েছে ডেলিগেট কার্ড এ প্রতিনিধিকে জানান, ২০০১ ও ২০০৬ সালে জোট সরকারের আমলে নিষ্পেশিত হয়েছিলাম। একাধিক মামলায় আসামি হয়ে আদালতের বারান্দায় বারান্দায় জীবনের অর্ধেক বয়স শেষ করেছি। এ মৎস্য ঘের করতে এসে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিলো ঘেরের পাহারাদার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে ওমর আলী শেখকে। তার পরেও এতো অত্যাচার-নির্যাতন শয়ে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জিউধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে অন্যায়ের কাছে কখনও মাথানত করিনী। নতুন আওয়ামী লীগ সেজে নেতাদের কাধেঁ ভর করে প্রকৃত আওয়ামীলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি জানান মহর আলী গাজী।
সংবাদ কর্মীদের কাছে পেয়ে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো বলেন, একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ভাইরাস ও সরকারিভাবে লোনের বোঝাঁ মাথায় নিয়ে ১৯৮৭ সাল থেকে এ ঘেরটি আগলে রেখেছি। পৈত্তিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে অন্যদিকে জমির মালিকদের প্রতি বছর হাড়ির টাকা পরিশোধ করে ঘের করে আসছি। নতুন করে এ মৎস্য ঘেরটি নিয়ে তাকে নানাবিধ হয়রানি করে আসছে রিয়াজ হাওলাদার ও তার সহযোগী স্থানীয় জাহিদুল হাওলাদার।
রিয়াজ হাওলাদার ওই মৎস্য ঘেরটির মালিকানা দাবি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মহর গাজীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে বন্ধ করে রেখেছেন ওই ঘেরের মাছধরা। তিনি এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ সর্ম্পকে জাহিদুল হাওলাদার বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সঠিক নয়। জিউধরার ঘের সংক্রান্ত কোন বিষয় তিনি সম্পৃক্ত নয়।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম জানান, মহর আলী গাজীর ঘের সংক্রান্ত অভিযোগে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখা হচ্ছে। আদালতের মামলা থাকার কারনে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে উভয়কে শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।