আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ডকে শতভাগ করোনামুক্ত ঘোষণা করে সেদেশের সরকার। ফলে দেশের অভ্যন্তরে জারি করা সকল বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়। তবে সীমান্তে বহাল রাখা হয় কড়াকড়ি। শুধু নিজেদের নাগরিক ও জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীদেরকে সীমান্ত পারাপারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
গত ৭ জুন দুই নারী যুক্তরাজ্য থেকে দোহা ও ব্রিসবেন হয়ে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করে। তাদের একজনের বয়স ৩০ এর কোটায় আর অপরজনের ৪০। নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের পর পরই তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছিল। অকল্যান্ডের একটি আইসোলেশন হোটেলে ছিলেন তারা।
যদিও গত ১২ জুন মৃত্যুশয্যায় থাকা জন্মদাতাকে দেখতে যাওয়ার আবেদন জানান তারা। সে রাতেই মারা যান ওই স্বজন। পরদিন ওই দুই নারীকে ওয়েলিংটনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দেশটির স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড জানান, ওই দুই নারী ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওয়েলিংটন গিয়েছিলেন। সেখানে পরিবারের একজন সদস্যের সঙ্গে ছিলেন তারা। ওই সদস্য স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন।
সোমবার (১৫ জুন) ওই দুই নারীর শরীরের করোনা পরীক্ষা হয়। আর মঙ্গলবার পাওয়া ফল থেকে জানা যায়, তারা করোনা পজিটিভ। তবে ওই দুই নারী ঠিক কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ।
এ দিকে গত ৮ জুন থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশকারী সব মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তাদেরকে কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।